পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে কারাবন্দী অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জাতিসংঘে তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনজীবী দল ও ইমরানের পরিবার এ অভিযোগ করেছেন। আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন, ইমরানকে দীর্ঘ সময় একাকী কারাগারে রাখা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা–সেবা দেওয়া হচ্ছে না, দূষিত খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং পরিবার ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
ইমরানের আইনজীবীরা বলেন, এ ধরনের আচরণ নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন (সিএটি) ও নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) লঙ্ঘন করছে, যার জন্য পাকিস্তান দায়বদ্ধ। আবেদনের সঙ্গে ইমরানের ছেলে সুলেইমান খানের বিবৃতিও যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, “আমাদের বাবাকে এমন পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে, যা কোনো মানুষ সহ্য করতে পারবে না। এগুলো মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের সমপর্যায়ের।”
জাতিসংঘের নির্যাতনবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত শুরু করতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন মানবাধিকার কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হয়।
৭১ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি কারাবন্দী। জাতিসংঘের কাছে করা আবেদনে তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a comment