কক্সবাজার শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মো. রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচের আগে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে একটিতে ইজারাদারসহ দুই জনকে এজাহারনামীয় আসামি এবং আরও অন্তত এক হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ইজাহারনামীয় আসামি করা হয় মো. ইব্রাহিম বাবু ও শাফায়াত হোছাইনকে। এরা উভয়েই টুর্নামেন্ট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এবং টিকিট বিক্রেতা। পাশাপাশি পাঁচশ থেকে সাতশ জন অজ্ঞাতনামা দর্শককেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলা সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। এতে ২৫০–৩০০ জন অজ্ঞাতনামা যুবককে আসামি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও পুলিশ জানিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক ভেঙে কয়েক হাজার দর্শক ভেতরে প্রবেশ করেন। উচ্ছৃঙ্খল দর্শকরা চেয়ার-টেবিল, সাউন্ড সিস্টেম, খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম, ভিআইপি গ্যালারি ও অফিস কক্ষে ভাঙচুর চালান এবং স্টেজে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন, পুলিশ পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার এজাহারে উল্লেখ আছে, ইজারাদাররা গ্যালারির ধারণক্ষমতার চেয়ে চার–পাঁচ গুণ বেশি টিকিট ছাপিয়ে বিক্রি করেছেন। এতে দর্শকরা অতিরিক্ত ভিড়ে উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a comment