গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে অন্তত ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন। নির্বিচারে বোমাবর্ষণে বহু ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, ধ্বংস হয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রও। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবারের তীব্র হামলায় গাজা সিটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, শুধু ওই শহর থেকেই অন্তত ৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফলে অবরোধ ও ধারাবাহিক হামলার মধ্যে গাজার মানুষের জীবনযাত্রা এখন চরম মানবিক সংকটে পড়েছে।
আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, মানুষ এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আশ্রয়ের চেষ্টা করছে। তবে দক্ষিণের আল-মাওয়াসি ক্যাম্প ও দেইর আল-বালাহ এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত ভিড় এবং বারবার হামলার কারণে সেখানেও নিরাপদ আশ্রয় মিলছে না। এ কারণে অনেকে আবার গাজা সিটিতেই ফিরে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় ৯ লাখ মানুষ এখনও ওই শহরে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দাবি করেছে, গাজা সিটি থেকে ইতোমধ্যে আড়াই লাখের বেশি মানুষ পালিয়েছে।
জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় সাধারণ মানুষ এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
Leave a comment