নওগাঁ সদর উপজেলার কাঠাতলী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীর ছুরিকাঘাতে জুথি (২২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
নিহত জুথি সদর উপজেলার আনন্দনগর মৃধা পাড়ার বাসিন্দা ঝুন্টু প্রামানিকের মেয়ে। জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের ভিত্তিতে গাজীপুরের বাসিন্দা তানভীরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিবাহের কিছু মাস পর জুথি জানতে পারেন, তানভীরের আরও একটি স্ত্রী রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ ও সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়।
মৃত্যুর আগে জুথি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান এবং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানির দিন। সকালে কোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন জুথি।
কাঠাতলী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে ওঁত পেতে ছিলেন তানভীর। জুথি রাস্তায় দাঁড়াতেই তানভীর ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় জুথিকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন,
“ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশে পারিবারিক ও স্বামীর দ্বারা নারী নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড নিয়মিত ঘটলেও প্রেমবিবাহ বা দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে সংঘটিত হত্যার ঘটনা সম্প্রতি বাড়ছে। নারীদের নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত তদন্ত এবং কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।
Leave a comment