দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১১ জন রোগী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১২ জন এবং বাকি রোগীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৮২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ হাজার ৩৭৯ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বলেন,“ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়, এটি সারা বছরই হচ্ছে। তবে বর্ষা মৌসুমে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। প্রতিরোধে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।”
অন্যদিকে কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী মনে করেন, কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “শুধু জেল-জরিমানা আর প্রচারণা যথেষ্ট নয়। সঠিক জরিপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা শনাক্ত করে দক্ষ জনবল দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিতে হবে।”
২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার ও সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও নিজ নিজ বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
Leave a comment