নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় একই পরিবারের দুই বোন পুকুরে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেনের দুই মেয়ে, বিবি মরিয়ম অহি (১০) ও তার ছোট বোন সিদরাতুল মুনতাহা ছহি (৬)। দুজনই স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে দুই বোন বাড়ির পাশের পুকুরঘাটে যায় মুখ ধোয়ার জন্য। এ সময় ঘাটের ধারে একটি শামুক দেখতে পান বড় বোন অহি। সেটি ধরতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তিনি পুকুরে পড়ে যান। বড় বোনকে বাঁচাতে ছোট বোন ছহিও পানিতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু সাঁতার না জানায় দুজনেই পানির নিচে তলিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে পুকুরের ধারে শামুক ধরার চেষ্টার মুহূর্ত থেকে পানিতে পড়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে ডুবে যাওয়ার পুরো ঘটনাই রেকর্ড হয়।
কিছুক্ষণ পর স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুরে দুই বোনকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে ওঠে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ জানান,
“দুই বোন শামুক ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে ডুবে মারা গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
গ্রামের মানুষ জানান, দুই বোন পড়াশোনায় ভালো ছিল । তাদের হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বাংলাদেশে প্রতিবছরই অসংখ্য শিশু পুকুর, নদী কিংবা জলাশয়ে ডুবে মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিভাবকরা যদি ছোট শিশুদের পানির ধারে একা যেতে না দেন এবং আশপাশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়, তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Leave a comment