গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর নতুন অভিযানে আরও ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৬২ জন আহত হয়েছেন। এতে চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৪৯৯ জনে , আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জনে।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, সরকারি হিসাব কেবল সেইসব নিহত ও আহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে, যাদেরকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা এবং সড়কে পড়ে থাকা অসংখ্য মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার সরঞ্জামের অভাব ও অব্যাহত বোমাবর্ষণ এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ফলে প্রকৃত প্রাণহানি ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সেখানে ভয়াবহ খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সংঘাত শুরুর পর থেকে অনাহার ও অপুষ্টিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২২ জন, যার মধ্যে ১০১ জন শিশু। সোমবার একদিনেই খাদ্যাভাবজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন এক শিশুসহ পাঁচজন।
ত্রাণ নিতে আসা বেসামরিক নাগরিকদের ওপরও নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৭৭২ জন ফিলিস্তিনি। অনাহার, অপুষ্টি এবং ত্রাণ সংগ্রহকালে নিহতদেরও সামগ্রিক প্রাণহানির হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)-এ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
Leave a comment