সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ সন্ত্রাসীকে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও অস্ত্রের মহড়া চলতে থাকায় হুমকির মুখে পড়ে জননিরাপত্তা। এই প্রেক্ষাপটে রোববার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় একটি যৌথ অভিযান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় পালানোর চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর টহল দল ধাওয়া করলে পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকেও লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায় ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে। পরে যৌথ বাহিনীর টহল দল তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে মো. আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ।
এছাড়াও চারজন সন্ত্রাসী তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একটি একনালা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং বেশ কিছু দেশীয় ধারালো অস্ত্র।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানটি শেষ হয়। এই অভিযানে আটককৃত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের কাছে । এর পাশাপাশি আইএসপিআর জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।
আইএসপিআর অনুরোধ জানিয়ে বলে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।আইন-বহির্ভূত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য প্রদান করতে আহ্বান জানান ।
Leave a comment