রাজধানীর খিলগাঁওয়ের আপন কফি হাউসে এক তরুণীকে মারপিটের ঘটনায় হোটেল ম্যানেজার ও কর্মীকে আটক করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে নেওয়া দুজন হলেন কফি হাউসের ম্যানেজার আল আমিন ও কর্মী শুভ সূত্রধর।
পুলিশ বলেছে, তরুণীকে মারধরের ঘটনাটি গত ১১ এপ্রিলের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও প্রকাশ পেলে তা পুলিশের নজরে আসে। পরে হোটেল ম্যানেজার ও কর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
খিলগাঁওয়ের ওই ঘটনার এক মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, আপন কফি হাউসের সামনে এক তরুণী দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে ওই হোটেলের চারজন কর্মী ও দুই জন নিরাপত্তাকর্মীকে দেখা যায়।
কয়েকজন গ্রাহক কফি হাউসে প্রবেশ করলেও হোটেল স্টাফরা ওই তরুণীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না ।
এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীর কাছে থেকে লাঠি নিয়ে হোটেলের এক স্টাফ তরুণীকে লাঠিপেটা করে। পরে রাস্তার পাশে তরুণীকে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে দেখা যায়। রাস্তার পাশে থাকা এক বাইকার তরুণ এগিয়ে এসে তরুণীকে নিয়ে কফি হাউসে প্রবেশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আপন কফি হাউসের মালিক জিয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন, সে অধিকাংশ সময় গ্রাহকের খাবার নিয়ে যায়, খাবার না দিলে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। এজন্য ওইদিন তাকে মারধর করা হয়।’
থানা পুলিশকে না জানিয়ে কেন তরুণীকে পেটালেন এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিয়া।
তিনি বললেন, ‘প্রতিষ্ঠানে আমার থাকা হয় না, আমি অসুস্থ, আমি থাকলে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতো না।’
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আপন কফি হাউসের সামনে তরুণীকে মারধরের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের নজরে আসার পর আমরা কফি হাউসের ম্যানেজার ও এক কর্মীকে হেফাজতে নিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তরুণীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছে। তবে আমাদের ভিডিও ফুটেজে তরুণীর অবস্থান ও পোশাকে ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়নি। আমরা যাচাই বাছাই করছি।
আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এখনো তরুণীকে খুঁজে পাই নাই। তাকে খুঁজে পেলে বা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা হয়নি। মারধরের শিকার তরুণীকে খোঁজা হচ্ছে। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে, খুব দ্রুতই তার সন্ধান মিলবে।’
Leave a comment