গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে প্রতিদিন গাজায় কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। গাজা সিটির আল–আহলি হাসপাতালের পরিচালক জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৮৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৮৭ জন।
হামাস সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েল যেসব এলাকাকে নতুন করে উচ্ছেদের লক্ষ্যে চিহ্নিত করেছে, সেসব স্থানে অবস্থানরত বন্দীদের অর্ধেকের বেশি এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০,৬০৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১,১৫,০৬৩ জন। অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন, যাঁদের মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি অভিযানে নতুন করে নিহত হয়েছেন ১,২৪৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৩,০২২ জন। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, এবং ইসরায়েল আবারও বড় আকারে হামলা চালাচ্ছে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে।
Leave a comment