পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে এবং ২১ নিরীহ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যও নিহত হন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজি সদস্যরা যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেন। স্নাইপারদের গুলিতে আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয় এবং কোনো যাত্রী চূড়ান্ত অভিযানে প্রাণ হারায়নি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালায় বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বোলান এলাকায় ট্রেন থামিয়ে সশস্ত্র হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ রাখছিল এবং তাঁদের মধ্যে একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ আফগানিস্তানে অবস্থান করছিলেন। সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় অভিযান পরিচালনায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের হত্যা প্রমাণ করে যে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’’
এছাড়া, পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুর, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রেসিডেন্ট আমাল ওয়ালি খানও এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
Leave a comment