গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বেশিরভাগ হামলা সংঘবদ্ধ ‘মব’ দ্বারা করা হয়েছে। এই হামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা একটি উদাহরণ। এতে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা এসআইয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলতে এবং তাকে মারধর করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আহত এসআই ইউসুফ আলী অসহায়ভাবে কাঁদছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ৭০টি ঘটনার পর ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ হামলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে আসামি ছিনতাইও করা হয়েছে। গত তিন মাসে ৭০টি হামলার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ৩৭টি হামলা শুধু ফেব্রুয়ারিতে। এসব হামলায় পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলা এবং শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি অন্য নৈতিক ও সামাজিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথম আলোকে পুলিশের ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসব হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়া, রাজনৈতিক নেতা ও অপরাধীদের এই সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় একাধিক রাজনৈতিক শ্রেণি জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি সরকারের মনোবল এবং পুলিশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে, যা আইনশৃঙ্খলার কঠিন অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি এমন হামলা অব্যাহত থাকে, তবে তাদের আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরও কঠোর হতে হবে।
এদিকে, অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, যদি অপরাধীরা পুলিশকে ভয় না পায়, তবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে উঠবে। এজন্য রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ সকল শ্রেণির মানুষকে আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।
Leave a comment