দুবাই থেকে বাংলাদেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সোনা রপ্তানি হলেও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই পরিমাণ খুবই সামান্য। কিন্তু জাতিসংঘের পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইএসসিডব্লিউএ) তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের সোনা রপ্তানি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বৈধভাবে মাত্র ৮২ লাখ ডলারের সোনা আমদানি করা হয়েছে। অর্থাৎ, ৩৬৫ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সোনা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে।
অবৈধভাবে আসা সোনার বড় একটি অংশ ভারতে পাচার হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশে সোনা যে অবৈধভাবে আসে, তা সবার জানা, তবে সরকারি হিসাবে এসব তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে না।
২০২৩ সালে এনবিআরের হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানিকৃত শীর্ষ পণ্য ছিল সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, কিন্তু ইএসসিডব্লিউএর তথ্য বলছে, ওই বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা পণ্য ছিল সোনা, যার মূল্য ৫৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
অবৈধভাবে আসা সোনা ব্যবহৃত হয় চোরাচালান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধ লেনদেন এবং সীমান্ত দিয়ে সোনার পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা সোনার তথ্য যাচাই করে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
Leave a comment