দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে তা নেমে এসেছে ৯.২৪ শতাংশে। গত ১১ মাসে এই প্রথমবারের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে এসেছে।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমলেও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে এটি কমে ৯.২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮৭ শতাংশ এবং এপ্রিলে তা বেড়ে ১০.২২ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর থেকে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে দুই অঙ্কে ছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৩২ শতাংশ। এটি গত ২৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৭৮ শতাংশ।
বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমার কারণ
ধানের মৌসুম শুরু হওয়ায় চালের দাম কিছুটা কমেছে।
শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসায় সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু খাদ্যপণ্যের দাম কমায় আমদানি খরচ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
পরবর্তী ধাপে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা জরুরি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
Leave a comment