জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি ও ১৭টি আবাসিক হলের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরাও। শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ও শাখা ছাত্রদলের স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩৭০ সদস্যের বর্ধিত কমিটি এবং হল কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিসহ সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪৭ জনে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা হত্যার মামলার আসামি হামিদুল্লাহ সালমান, রাজু আহমেদ ও মোহাম্মদ রাজন মিয়া নবগঠিত কমিটিতে পদ পেয়েছেন। হামিদুল্লাহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সভাপতি, রাজু শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রাজন সদস্য হয়েছেন। সালমান দাবি করেন, তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।
এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কয়েকজনও ছাত্রদলের পদে আছেন। রোকেয়া হলের সভাপতি হয়েছেন কাজী মৌসুমী আফরোজ, ২১ নম্বর হলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সহসভাপতি সাইদুর রহমানসহ আরও কয়েকজনকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে। কেউ কেউ পূর্বে ছাত্র ইউনিয়নের পদেও ছিলেন।
তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত না থেকেও তাঁদের নাম কমিটিতে এসেছে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের সাধারণ সম্পাদক উম্মে হাবিবা বলেন, তিনি কোনো ধরনের মিছিলে অংশ নেননি এবং তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই করে কমিটি করা হলেও কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি থেকে থাকতে পারেন; প্রমাণ মিললে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিটি ঘোষণার পর রাতেই অন্তত ৩০ জন পদবঞ্চিত নেতা–কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা ‘বৈষম্যমূলক কমিটি’ বাতিলের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন এবং দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
Leave a comment