সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি টয়লেট থেকে ছোঁয়া মনি (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির মুখ, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেলে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ছোঁয়া মনি ওই গ্রামের সুমন শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই ছোঁয়া মনি নিখোঁজ ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে এলাকায় উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলে স্থানীয়রা প্রতিবেশীর একটি ভাঙা ও দীর্ঘদিন ধরে অচল পড়ে থাকা টয়লেটে শিশুটির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান ।
মরদেহটি টয়লেটের ভেতরে পড়ে ছিল এবং তার পরনের পোশাকে রক্তের দাগ ছিল। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “শিশুটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে এবং হত্যার কারণ ও দায়ীদের শনাক্তে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা প্রায়ই আলোচনায় আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সামাজিক সংগঠনগুলো মনে করছে, পরিবার ও সমাজের সজাগতা বৃদ্ধি এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করলেই এ ধরনের অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
Leave a comment