রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকায় অভিনব এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মো. সাকিব ও তাঁর সহপাঠী একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকতেন। ২১ মার্চ বিকেলে তাঁদের বাসায় সাবলেট হিসেবে থাকার জন্য আসেন মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল নামের এক ব্যক্তি। বাসাটি পছন্দ হওয়ার পর মাহথির সাবলেট নেওয়ার কথা বলে চাবি নিয়ে যান। তবে পরদিন জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দেওয়ার কথা বলে তিনি চাবিটি ফেরত দেননি। সেই রাতেই চাবি ব্যবহার করে বাসায় ঢুকে নগদ টাকা, ল্যাপটপ ও মুঠোফোন চুরি করেন।
সাকিবের অভিযোগের ভিত্তিতে বাড্ডা থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায় এবং রোববার সকালে রাজধানীর পল্লবীর কালশী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মাহথির মোহাম্মদ খান তমাল ও তাঁর সহযোগী মো. তোফায়েল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬১টি চোরাই ল্যাপটপ ও ২টি চোরাই মুঠোফোন, যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, চক্রটি সাবলেট নেওয়ার নাম করে বাসার চাবি সংগ্রহ করত এবং সুযোগ বুঝে রাতে চুরি করত। এই ঘটনা প্রকাশের পর আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেখানে একই কৌশলে চুরির কথা উঠে এসেছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি এই চক্রের অন্য সদস্যদেরও খুঁজছে পুলিশ।
Leave a comment