আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের অনলাইন যোগাযোগ রুখতে জনপ্রিয় দুটি অ্যাপ টেলিগ্রাম ও বোটিম নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব ওঠে।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অ্যাপ দুটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। আপাতত রাতে এসব অ্যাপের গতি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে।
কোর কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, সম্প্রতি ঢাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেফতার হওয়া ২৪৪ জনের মধ্যে দেড় শতাধিক টেলিগ্রাম ও বোটিম ব্যবহার করে শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মোবাইল জব্দ করে এ তথ্য পেয়েছে।
দুটি গোয়েন্দা সংস্থা বৈঠকে জানায়, সারাদেশে ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর দ্রুত জামিন পাওয়া প্রসঙ্গ। কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, জেলা পর্যায়ের পাবলিক প্রসিকিউটর, আইনজীবী সমিতি ও রাজনৈতিক নেতারা এ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতারদের জামিনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে মানবাধিকারকর্মী নূর খান মনে করেন, জামিন পাওয়া মানুষের অধিকার। অনেক সাধারণ মানুষ হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা জামিন পাবেন। সভায় আরও আলোচনা হয় শারদীয় দুর্গাপূজা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গুজব ছড়ানো বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a comment