ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শনিবার দলটির পক্ষ থেকে ‘মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ’ বিষয়ক সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন খানের স্বাক্ষরে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করা হয়। এতে শেখ হাসিনাসহ মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মো. সালাহ উদ্দিন খান জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বহু নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ ও গুম করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ আলী খান, মো. জিল্লুর রহমান, আকিদুল আলী, খোরশেদ আলম, আশরাফ আলী, মো. বাবুল, এনামুল, এরশাদ আলী, মো. গিয়াস উদ্দিন খান, মো. কবির উদ্দিন খান ও নজরুল ইসলাম।
বিএনপির অভিযোগে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে অপহরণ করে মাসের পর মাস, কখনো বা বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের গোপন জায়গায়—আলোচিত ‘আয়নাঘর’সহ বিভিন্ন নির্যাতনকেন্দ্রে রেখে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার করা হয়। এ উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ভয়ভীতি ছড়িয়ে রাজনীতি থেকে সরে যেতে বাধ্য করা।
বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিচার হওয়া প্রয়োজন। তাঁরা আশা করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।
এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে দলটি এ ধরনের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করে আসছে।
Leave a comment