রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সোনিয়া সুলতানা তানিয়া (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মির্জাপুরের ইসলাম টাওয়ারের একটি বাসায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আকতার বানু। তিনি জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
অধ্যাপক আকতার বানু বলেন, “তানিয়া আমাদের খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল। গতকালই তার ভাইভা পরীক্ষা ছিল এবং ভালোভাবেই দিয়েছে। কী কারণে এমন করল, বুঝে উঠতে পারছি না। একটি নোট পাওয়া গেছে, সেখানে শুধু লেখা ছিল— ‘মাফ করে দিও।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৬টার দিকে তানিয়ার কক্ষ থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে সহপাঠীরা দরজা ধাক্কা দিতে থাকেন। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। মতিহার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক আকতার বানু বলেন,“পুলিশ সব প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আপাতত মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।”
তানিয়ার সহপাঠীরা জানান, তিনি হাসিখুশি প্রকৃতির ছিলেন। পড়াশোনায়ও মনোযোগী ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ব্যক্তিগত বা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না, তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ, একাকিত্ব এবং প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং সেবা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভুগলেও তা প্রকাশ করতে পারেন না।
Leave a comment