ইলন মাস্কের ট্রান্সজেন্ডার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর দেশটিতে নিজের কোনো ভবিষ্যৎ দেখছেন না ।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আইওএল নিউজ জানায় , অনেকটা আতঙ্কে থাকা মাস্কের সন্তান জেভিয়ার, যিনি এখন ‘ভিভিয়েন জেনা উইলসন’ নামে পরিচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন জাপানে।
গত সপ্তাহে টিন-ভগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিভিয়ান জানান, তার জাপান যাওয়ার সিদ্ধান্তে মাস্ক কোনোভাবেই জড়িত নন। লস অ্যাঞ্জেলেসে ধনী-গরিবের বিশাল বৈষম্য দেখেই তিনি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভিভিয়ান বলেন, ‘এমন কোনো সমাজ থাকা উচিত নয়, যেখানে কেউ কেউ একাধিক ব্যক্তিগত বিমান, দ্বীপ বা অন্য কোনো বিলাসবহুল সম্পত্তির মালিক—অথচ অন্যরা রাস্তায় ঘুমাচ্ছে।’
নিজের বাবা ইলন মাস্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি কিছুই পরোয়া করেন না। তিনি একজন নাজুক শিশুসুলভ মানুষ। তার সঙ্গে যুক্ত থাকাটাই বিরক্তিকর।’
মাস্কের প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের সন্তান ২০ বছর বয়সী ভিভিয়ান । ২০০৪ সালে জন্ম নেয়া ভিভিয়ান ,মাস্কের প্রথম স্ত্রীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে একজন। ২০০৮ সালে মাস্ক ও জাস্টিন উইলসনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
ভিভিয়ান ১৬ বছর বয়সে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে পরিচয় প্রকাশ করার পর নিজের নাম পরিবর্তন করে মায়ের পদবি গ্রহণ করেন । তিনি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন, তিনি আর তার বাবার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চান না।
এর আগে, নির্বাচনী প্রচারণায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এলজিবিটি সম্প্রদায়ের প্রতি কঠোর কিছু নীতি প্রয়োগের কথা বলেছেন। তাই মাস্কের মেয়ে ভিভিয়ান ট্রান্সজেন্ডার অধিকারের বিষয়ে ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছেন ।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধি হয়ে বর্তমানে কাজ করছেন মাস্ক। এছাড়াও, নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
Leave a comment