মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় মা লক্ষ্মী রাজবংশীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতির বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে নিহতের ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— নিহতের বড় ছেলে রঞ্জিত রাজবংশী, পুত্রবধূ পার্বতী রানী রাজবংশী এবং নাতি পিয়াস রাজবংশী।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকার একটি ডোবা থেকে লক্ষ্মী রাজবংশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলার বাদী ঝন্টু রাজবংশী বলেন, “রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে তাকে না পেয়ে সারারাত খোঁজাখুঁজি করি। সকালে বাড়ির সামনের ডোবায় মায়ের মরদেহ ভাসতে দেখি। মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন, তিনি নিজে ওইখানে যেতে পারেন না। বড় ভাইয়ের পরিবার পরিকল্পিতভাবে মাকে হত্যা করেছে। আমি মায়ের হত্যার বিচার চাই।”
স্থানীয় লিমন কাজী বলেন, “লক্ষ্মী রাজবংশী প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইসিসে ভুগছিলেন, একা চলাফেরা করতে পারতেন না। তাই মরদেহ ডোবায় পাওয়া নিয়ে এলাকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”
নিহতের বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী বলেন, “আমার মা দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিলেন। তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের খোঁজ নিত না, তাই আমিই তাকে রেখেছিলাম। কিন্তু আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত এসে মাকে নিয়ে যায়। মা অসুস্থ ছিলেন, তবুও ওরা মাকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।”
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ঝন্টু রাজবংশীর করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
Leave a comment