সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বৈদ্যুতিক তার চুরি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শারফিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বৈদ্যুতিক তার চুরি করতে গিয়েই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে এবং মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করা হয়েছে।
ওসমানী বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাজন বলেন, “মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে। আশপাশের এলাকায় অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুই মনে হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতে বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকার একপাশে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্নিত হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নেয়। পরে বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে দেখতে পান, একজন ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছেন এবং পাশে ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার ছড়িয়ে আছে।
খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া দাগ রয়েছে, যা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার লক্ষণ বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি কেস) দায়ের করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং সমাজে বাড়তে থাকা অবৈধ কর্মকাণ্ড ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা সম্পাদনের এক ভয়াবহ উদাহরণ।
Leave a comment