বাংলা গানের আকাশের অমর নক্ষত্র, ‘গানের পাখি’ খ্যাত সাবিনা ইয়াসমিন আজ ৭২ বছরে পদার্পণ করলেন। ১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি শিল্পী টানা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তার সুরেলা কণ্ঠে মুগ্ধ করেছেন কোটি শ্রোতাকে।
সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গান সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। বাংলা চলচ্চিত্রের গান থেকে শুরু করে আধুনিক, লোকসংগীত, দেশাত্মবোধক কিংবা উচ্চাঙ্গ সংগীত—সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতায় গান গেয়ে তিনি জয় করেছেন সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়।
তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৬টি বাচসাস পুরস্কার, একুশে পদক (১৯৮৪) এবং দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬) অর্জন করেছেন।
মাত্র ৮ বছর বয়সে ‘নতুন সুর’ সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম গান করেন তিনি। এরপর ১৩ বছর বয়সে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্রে “মধুর জোছনা দীপালি” গান দিয়ে মূলধারায় কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেখান থেকেই শুরু, আর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
তার গাওয়া “একটি পাখি দুপুরে রোদে”, “একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে”-সহ অসংখ্য গান আজও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আলতাফ মাহমুদ, খান আতাউর রহমান, রবীন ঘোষসহ কিংবদন্তি সুরকারদের সুরে তার গান বাংলা সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সমানভাবে ছিলেন সক্রিয়। ইংল্যান্ড, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন, ভারত ও পাকিস্তানসহ বহু দেশে সংগীত পরিবেশন করেছেন। সংগীত ছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘উল্কা’-য়।
গানপ্রেমীদের কাছে সাবিনা ইয়াসমিন শুধু একজন শিল্পী নন, বরং বাংলা সংগীতের ইতিহাসে চিরভাস্বর এক অনন্য নাম।
Leave a comment