গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নিখোঁজের সাত দিন পর, চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ইতি বেগমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের লায়েক শেখের পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইতি বেগম ওই গ্রামের রাসেল শেখের স্ত্রী এবং জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে রাসেল শেখের সঙ্গে ইতি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য দেখা দিত। সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই নিখোঁজ হন ইতি। তিন দিন পর ২৭ নভেম্বর স্বামী রাসেল শেখ মুকসুদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি মোস্তফা কামাল জানান, রাতে স্থানীয়রা পুকুরে ভেসে থাকা একটি বস্তা দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তা খুলে অন্তঃসত্ত্বা ইতি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।“মরদেহটির হাত, পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই স্বামী রাসেল ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a comment