পটুয়াখালীর বাউফলে ‘গাঁজাখোর’ বলে কটূক্তি করায় ফাহিম বয়াতী নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই পরীক্ষার্থীর বাবাও আহত হয়েছেন।
বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমানা সংলগ্ন ধলু ফকিরের বাজার এলাকায় মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বাউফলের নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন নিহত ফাহিম বয়াতী (১৮) । নিহতের বাবা জাকির বয়াতী পেশায় মাছ বিক্রেতা। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনি।
জানা যায়, নিহত ফাহিম সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে ধলু ফকিরের বাজারে বাবার কাছে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গতিরোধ করে একই এলাকার শাকিল এবং কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন শাকিল। ঘটনার সময় ফাহিমের বাবা জাকির বয়াতী এগিয়ে এলে ছুরিকাঘাত করা হয় তাকেও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত শাকিলকে ফাহিম ‘গাঁজাখোর’ বলে কটাক্ষ করলে প্রথমে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়।
একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
তখনই ধারালো ছুরি দিয়ে ফাহিম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন শাকিল। ফাহিমের পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত জাকির বয়াতীকে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেলে এবং পরে বরিশালে স্থানান্তর করা হয়।
উত্তেজিত জনতা ঘটনার পর অভিযুক্তদের একজন সহযোগী শানুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটনাটি গলাচিপা থানা এলাকার শুরু হলেও, দশমিনা থানার ভেতরে সংঘর্ষটি ঘটে। উভয় পরিবারই বাউফল উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে এবং এ ঘটনায় দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত চলছে ঘটনাটি নিয়ে।
Leave a comment