নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন সুশীলা কারকি। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ‘ডিসকর্ড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। গত সপ্তাহে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করেন কে পি শর্মা অলি, যা প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি করে।
কাঠমান্ডুর তরুণরা প্রাথমিকভাবে বালেন্দ্র শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রচার চালালেও, কয়েক দফার বৈঠকের পর চূড়ান্তভাবে সুশীলা কারকিকে বাছাই করা হয়। ডিসকর্ডে ১ লাখ ৪৫ হাজার সদস্যের একটি গ্রুপ ভোটাভুটিতে অংশ নিলে সুশীলা কারকির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়া যায়। ভোটাভুটি আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন ‘হামি নেপাল’। গ্রুপের সদস্যরা সরাসরি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এবং ডিসকর্ডকে ভোটের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে সুশীলা কারকি নেপালে সমাদৃত। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেন, যার মধ্যে তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী জয় প্রকাশ প্রসাদ গুপ্তাকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা অন্যতম। সুশীলা ও তাঁর স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি নব্বইয়ের দশকে রাজতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
Leave a comment