লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড এলাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যবহৃত একটি ফ্ল্যাট সম্পর্কে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছিল ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে নিবন্ধিত একটি অফশোর কোম্পানি, পেডরক ভেঞ্চারসের মাধ্যমে। ২০০০ সালে ফ্ল্যাটটি ২ লাখ ৪৩ হাজার পাউন্ডে কেনা হয়।
পানামা পেপারস এবং আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজের নথি অনুযায়ী, পেডরক ভেঞ্চারসের মালিকানা হারবার্টন এস এ নামে আরেকটি অফশোর কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে এই কোম্পানিটি বন্ধ করে ফ্ল্যাটটি মঈন গনি নামে এক ব্যক্তির কাছে উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হয়।
মঈন গনি, যিনি বাংলাদেশি আইনজীবী এবং শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, পরে ফ্ল্যাটটি টিউলিপের বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে হস্তান্তর করেন। ২০০৯ সালে আজমিনা মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফ্ল্যাটটির মালিকানা পান, যদিও তখন তার কোনো আয়ের উৎস ছিল না।
আজমিনা সিদ্দিক এই ফ্ল্যাটটি ২০১৭ সালে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন। এর আগে, ২০১২ ও ২০১৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিক নিজ ঠিকানা হিসেবে এই ফ্ল্যাটের উল্লেখ করেছিলেন। ফ্ল্যাটটি বিক্রি হওয়ার আগেও এটি তার পরিবারের ব্যবহারে ছিল।
পেডরক ভেঞ্চারসের মালিকদের মধ্যে বাংলাদেশের দুই ব্যবসায়ী নাসিম আলী ও মাসুদ আলীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তারা ঢাকায় নিবন্ধিত শ্যামলিমা লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক, যা বিদেশি জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে সেবা প্রদান করে।
বিষয়টি নিয়ে নাসিম আলী, মাসুদ আলী এবং মঈন গনির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি। টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, ফ্ল্যাটটি তার বোনের নামে এবং এ বিষয়ে তার সঙ্গেই কথা বলা উচিত। তবে আজমিনা সিদ্দিকও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এই ফ্ল্যাট কেনা ও ব্যবহারের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে কর ফাঁকির জন্য অফশোর কোম্পানির ব্যবহার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে।
Leave a comment