দেশের সাত বিভাগীয় শহরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এই আঁতাতের ফলে সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণের প্রত্যাশা উপেক্ষিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব সমাবেশে জামায়াতের নেতারা সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আবারও জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন।
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “একদিকে জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন, অন্যদিকে গোপনে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করবেন—এটি মেনে নেওয়া হবে না। নিরপেক্ষভাবে ডাকুন, আমাদের পাঁচ দফা দাবি মানুন, তাহলেই আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব।”
তিনি অভিযোগ করেন, ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও বিএনপি এর বিরোধিতা করছে। কারণ, তার ভাষায়, পিআর পদ্ধতি চালু হলে কালো টাকা, মনোনয়ন বাণিজ্য ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।
সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় আয়োজিত সমাবেশ থেকে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ অভিযোগ করে বলেন, সরকার জুলাই সনদ ঘোষণা করলেও তার চেতনা ধারণ করেনি। বরং বিশেষ একটি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তার দাবি, সংস্কার জনগণের প্রত্যাশা, এটি কেবল জামায়াতের এজেন্ডা নয়।
বরিশালের সমাবেশে দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান পিআর পদ্ধতি নিয়ে গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানান। একই দাবি তোলেন চট্টগ্রামের সমাবেশে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
জামায়াতের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) প্রায় অভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। দলগুলো তিন দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচিগুলো মূলত জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক ভোট পদ্ধতির বাস্তবায়ন এবং পাঁচ দফা দাবির উপর গুরুত্বারোপ করছে বলে জানান নেতারা।

Leave a comment