আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায় প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি বলেন, “আজকে প্রমাণিত হয়েছে, হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্য দায়ী। হাসিনা এই গুমের জন্য দায়ী। সুতরাং হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে। দেশের মাটিতে হতে হবে এবং তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে।”
শুক্রবার বিকেলে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে গুম ও হত্যার শিকার শতাধিক পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিএনপি মহাসচিব অংশ নিয়ে জনগণকে নিরাশ না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না, বিএনপিও এ বিষয় এড়িয়ে যাবে না। নির্বাচন চাই এই বিচারকে ত্বরান্বিত করার জন্যই।
ফখরুল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুম কমিশনকে জনগণের সামনে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের কান্না থামানোর ক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ। তাই সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তাঁর দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গুম ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটন হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
মানববন্ধন শেষে তিনি ‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক মঞ্জুর হোসেন। সেখানে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে আসে, গুমের দায় এড়ানো যাবে না এবং বিচারহীনতা চলতে দেওয়া হবে না। তিনি ঘোষণা দেন, যতদিন না দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, ততদিন বিএনপি ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর আন্দোলন চলবে।
Leave a comment