ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা অঞ্চলে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের হাজার হাজার তাঁবু প্লাবিত হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, কিছু তাঁবুর ভিতরে পানির উচ্চতা ৪০ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে গেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল ভিডিও বিবৃতিতে সতর্ক করে জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে আসন্ন মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তিনি উল্লেখ করেছেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাত শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বাসাল বলেন,“গাজা এখনো তীব্র মানবিক সংকটের মুখোমুখি। ২৪ লাখেরও বেশি বাসিন্দার মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা প্রবেশের মাত্রা খুবই সীমিত। আন্তর্জাতিক সাহায্য অবাধভাবে পৌঁছানো জরুরি।”
গত মঙ্গলবার গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছিল, বুধবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ বয়ে যাবে, যা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলবে। গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দুই বছরের সংঘাতে ইসরায়েলের আক্রমণে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার কারণে আশ্রয় সংক্রান্ত মৌলিক চাহিদা তীব্র। এই অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ তাঁবু প্রয়োজন, তবে সরবরাহ সীমিত।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনের জন্য প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। সংঘাতকালে প্রায় ৭০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭১,০০০-এরও বেশি আহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকলেও, অবকাঠামো পুনর্গঠন ও মানবিক সাহায্য এখনও সীমিত।
বাসাল ও অন্যান্য সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বৃষ্টিপাত ও প্লাবনের কারণে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
Leave a comment