মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গণমাধ্যম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, যেসব গণমাধ্যম তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে বা নেতিবাচক প্রচারণা চালায়, তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত। এয়ারফোর্স ওয়ানে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমের ৯৭ শতাংশ আমার বিপক্ষে যায়, সবকিছু নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। অথচ আমি সহজেই নির্বাচন জিতেছি। সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যেও আমি জয়ী হয়েছি। তাদের নেতিবাচক প্রচারণা চলছেই। আমার মনে হয়, ক্ষেত্রবিশেষে তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিত।”
সম্প্রতি জনপ্রিয় টেলিভিশন সঞ্চালক জিমি কিমেল তাঁর লেট নাইট শোতে রক্ষণশীল ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন (এফসিসি) প্রধান ব্রেন্ডান কার এবিসি নেটওয়ার্ককে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরপর এবিসি তাদের অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে। এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের মন্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এফসিসি যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যমের লাইসেন্স নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ফক্স নিউজ বা এমএসএনবিসির মতো কেবল চ্যানেলের ক্ষেত্রে তাদের এখতিয়ার নেই। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক মতভেদ বা বিরোধী কণ্ঠ দমনে গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করার কোনো আইনগত সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাকস্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেয়, যা এ ধরনের পদক্ষেপের পথে প্রধান অন্তরায়।
ট্রাম্প ও গণমাধ্যমের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই সমালোচনামূলক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর টানাপোড়েন চলছিল। সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই সম্পর্ক আরও তিক্ত হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Leave a comment