
ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি একজন কোচিং সেন্টার মালিকের কাছ থেকে চার কোটি টাকা আদায় করেন।
মামলাটি করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা মো. জোবায়দুর রহমান। তিনি ঢাকার শান্তিনগরের বাসিন্দা এবং ‘মেডিকো’ নামের একটি মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক। জোবায়দুর দাবি করেন, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট সিআইডির কিছু কর্মকর্তা তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান এবং ২৯ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, তাঁর চোখ বেঁধে মারধর করা হয় এবং এই নির্যাতনের ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়। পরে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে তাঁর কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁকে ক্রসফায়ারে দেওয়া এবং তাঁর স্ত্রীকে মানিলন্ডারিং মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়।
জোবায়দুরের পরিবার বাধ্য হয়ে গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রি করে চার কোটি টাকা পরিশোধ করে। এই টাকা সিআইডি কর্মকর্তাদের ড্রাইভারের মাধ্যমে পৌঁছায় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ঘটনার পর জোবায়দুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি ৪৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এই ঘটনায় মোহাম্মদ আলীসহ আরও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী ২০২২ সালে সিআইডি প্রধান হন এবং ২০২৫ সালের আগস্টে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আরও আটটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অভিযোগ নিয়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Leave a comment