কুমিল্লায় মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূলহোতা কবিরাজ মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকা থেকে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় নিহতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ব্যাগ, জামাকাপড় এবং ঝাড়ফুঁকের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
আটক মোবারক হোসেন (২৯) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং কবিরাজি কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোবারক হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি নিয়মিত ওই পরিবারের বাসায় যাতায়াত করতেন এবং ঝাড়ফুঁক করতেন।
ঘটনার দিন দুপুরে টানা তিন ঘণ্টা পানি পড়া ও ঝাড়ফুঁক করে মা তাহমিনা বেগম (৪৫) ও মেয়ে সুমাইয়া আরফিন (২৩)-কে পৃথক কক্ষে অচেতন করে ফেলে রাখে । পরে সুমাইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে মোবারক। তার চিৎকার শুনে মা তাহমিনা এগিয়ে এলে মোবারক তাকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষে নিয়ে গিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর সুমাইয়ার কক্ষে ঢুকে তাকেও গলা টিপে হত্যা করে।
হত্যার পর মোবারক নিহতদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে ট্রেনে ওঠার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠসংলগ্ন নেলী কটেজের দ্বিতীয় তলা থেকে তাহমিনা ও তার মেয়ে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
Leave a comment