কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৩২ বোতল বিদেশি মদসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু আগে উপজেলার বালিখোলা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা মো. শামসুল ইসলাম (২৭), মো. সুমন মিয়া (৩০) এবং মো. আজিজুল ইসলাম (২৪)। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদেশি মদ ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে র্যাব।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি বিশেষ দল বালিখোলা এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করলে ৩২ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে জব্দ করা মদের মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হুইস্কি, ভদকা ও বিয়ার ছিল । আটক ব্যক্তিরা এসব মদ স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিদেশ থেকে আনা মদ সীমান্তবর্তী এলাকায় কম দামে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায়, মাদক ও অবৈধ দ্রব্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মাদক কারবার বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করছে, বিদেশি মদের চোরাচালান এখন সীমান্ত অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় সক্রিয় কিছু চক্র গোপনে মাদক পরিবহন করছে। এসব চক্র বিদেশি মদসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য রাজধানীসহ বড় শহরে সরবরাহ করছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। করিমগঞ্জ থানার ওসি জানান, র্যাব আটক তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জব্দকৃত মদ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতভাবে বিপুল পরিমাণ মাদক, বিদেশি মদ ও অবৈধ দ্রব্য উদ্ধার করা হচ্ছে। র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো না গেলে মাদকদ্রব্যের প্রবণতা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই পরিবার ও সমাজের সহযোগিতাই এই যুদ্ধে সবচেয়ে বড় শক্তি হতে পারে।
Leave a comment