সৌদি আরবে একদিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই বিদেশি নাগরিক , চারজন সোমালি ও তিনজন ইথিওপীয়। অপর একজন সৌদি নাগরিক, যিনি নিজের মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পান।
রোববার (৩ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘সৌদি প্রেস’ এজেন্সির (এসপিএ) বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান এলাকায় এই সাজাগুলো কার্যকর করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘হাশিশ’ নামক মাদকদ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগ ছিল। মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলায় সৌদি সরকার বর্তমানে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলছে। ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে অন্তত ২৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৪ জনই মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত। ২০২৪ সালে দেশটিতে মোট ৩৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল, যা ১৯৯০-এর দশক থেকে মৃত্যুদণ্ডের তথ্য সংরক্ষণের শুরুর পর সর্বোচ্চ। চলতি বছর এ সংখ্যাও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে সৌদি সরকার নতুনভাবে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে, যার আওতায় ব্যাপক ধরপাকড় ও বিচার প্রক্রিয়া চালানো হয়। তখন আটক হওয়া অনেক ব্যক্তিদের সাজা এখন কার্যকর করা হচ্ছে।
সৌদি আরব ২০২২ সালের শেষ দিকে তিন বছরের স্থগিতাদেশ শেষে পুনরায় মাদক মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করে। ওই বছর এই কারণে ১৯ জন, ২০২৩ সালে মাত্র ২ জন এবং ২০২৪ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭ জনে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আশঙ্কা করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ প্রবণতাকে নজিরবিহীন ও উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছে।
Leave a comment