বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ভাজাবনিয়া সীমান্তের মিয়ানমার অংশে এই গুলির ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ির উলুবনিয়া গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (১৯) এবং ভাজাবনিয়া এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা আবদুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (২৭)। আহত জাহাঙ্গীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তবে গুরুতর আহত মোহাম্মদ হোসাইনকে প্রথমে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাবেক সদস্য জানান, মিয়ানমার থেকে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে পাচারকারীরা সীমান্ত পেরোনোর সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ওই দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল করিম জানান, ভাজাবনিয়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের একটি সীমান্ত পোস্ট রয়েছে, যা বর্তমানে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। শুক্রবার রাতে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় সাত থেকে আটটি গুলি ছোড়া হয়। এতে শূন্যরেখা থেকে ২০০ মিটার পূর্বে মিয়ানমারের ভেতরে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও একজন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল আরাকান আর্মি। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
Leave a comment