কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনার জেরে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা এবার সরাসরি প্রভাব ফেলেছে দুই দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল ও পিএসএলে। রাওয়ালপিন্ডিতে ড্রোন হামলার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পিএসএলের বাকি আটটি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ভারতের বিসিসিআইও চেয়েছিল, আইপিএলের বাকি ১৬টি ম্যাচও আমিরাতে আয়োজন করতে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পাকিস্তানকে দেওয়া আগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেল জিও সুপার।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এর পরদিন বিসিসিআই এক সপ্তাহের জন্য পুরো আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ভেন্যু খোঁজার অংশ হিসেবে আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয়, পিএসএলের জন্য এরই মধ্যে ভেন্যু বুকিং দেওয়া হয়েছে, এবং সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসবে না।
জিও সুপারের খবরে আরও বলা হয়, বিসিসিআই সেপ্টেম্বর মাসে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের চিন্তা করেছিল। কিন্তু সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ, যার আয়োজক ভারত। ফলে একই সময়ে দুটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা ভারতীয় বোর্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
বর্তমানে বিসিসিআই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভারতের ভেতরেই আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর নাম শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত উত্তেজনা থেকে এই দুই শহরের দূরত্ব অনেক হওয়ায়, তুলনামূলক নিরাপদ বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পিএসএল আপাতত নিরাপত্তার কারণে আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হলেও, আইপিএলের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত। আরব আমিরাতের ইসিবি যে একতরফাভাবে পাকিস্তানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে অটল থাকবে, এই অবস্থান দুই দেশের ক্রিকেট রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখা যাবে, বিসিসিআই শেষ পর্যন্ত কী বিকল্প ব্যবস্থা নেয় এবং টুর্নামেন্ট শেষ করতে কতটা সফল হয়।
Leave a comment