আজ ১১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর এ দিনটি পালিত হয় কন্যাশিশুদের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে। ২০২৫ সালের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো— “The Girl, I Am, The Change Lead: Girls on the Frontlines of Crisis”।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটিকে ঘিরে নানা আয়োজন হয়ে থাকে। সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি সংগঠনগুলো কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রচারণা চালায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
দিবসটির মূল লক্ষ্য হলো— কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য, সহিংসতা ও শোষণ প্রতিরোধ করা, তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, এবং নেতৃত্বে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে এখনও মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ, বাল্যবিবাহ রোধ, ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক প্রস্তাবের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানায়, কন্যাশিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা টেকসই উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অধিকার রক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা মানবিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ আলোচনা সভা, র্যালি ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নারী উন্নয়ন সংগঠনগুলো কন্যাশিশুদের অংশগ্রহণে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
বিশ্বজুড়ে চলমান সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত ও বৈষম্যের সময়ে কন্যাশিশুরা প্রায়ই ঝুঁকির মুখে পড়ে। এবারের প্রতিপাদ্য তাই তাদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকে সামনে এনে বার্তা দিচ্ছে— পরিবর্তনের পথে কন্যাশিশুরাই হতে পারে অগ্রণী শক্তি।
Leave a comment