নির্বাচনী প্রচারণার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জন্য কেনা বুলেট প্রুফ বাস দেশে পৌঁছেছে। বাসটি সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়েছে এবং আজ বা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে।
এটি বিএনপি’র নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন একটি ‘হার্ড জিপ’ গাড়ি দেশে এসেছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো এলসি ২৫০ মডেলের এই গাড়িটি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নামে নিবন্ধিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন প্রদান করেছে।
বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দলটিকে দুটি বুলেট প্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি গাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ২০২৫ সালের জুন মাসে, আরেকটির অনুমতি দেওয়া হয় অক্টোবর মাসে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয়টি দলগুলোর জন্য বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি’র এই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে নেতৃবৃন্দ নিরাপদভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বুলেট প্রুফ যানবাহন নির্বাচনী প্রচারণার সময় নেতাদের জন্য অপরিহার্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম হিসেবে কাজ করে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, নতুন বাসটি ঢাকায় পৌঁছানোর পর দ্রুত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাখা হবে এবং নির্বাচনী সফরের সময় ব্যবহার করা হবে। বাসটি বৃহৎ ক্ষমতার, বহিরাগত হুমকি থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে ডিজাইন করা এবং নির্বাচনী শোভাযাত্রা, জনসভা বা অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলো গত কয়েক বছর ধরে উন্নত নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানি করছে। বিশেষ করে বড় রাজনৈতিক নেতাদের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ি এবং বাস নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য নির্ধারিত বাস এবং গাড়ি ব্যবহার করলে নেতাদের নিরাপত্তা বাড়বে এবং জনসভা ও র্যালিতে স্বাচ্ছন্দ্যে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে। দলটি ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সময়সূচি অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ।
Leave a comment