ঢালিউডের আলোচিত অভিনেতা ও সাবেক শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদ খান প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘসময় অবস্থান করার পর সেখান থেকেই তিনি পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সৌদি আরবগামী ফ্লাইটে তিনি যাত্রা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শুরু করেন জায়েদ খান। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর দেশে ফেরার পরিকল্পনা থাকলেও নানা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত ফেরা হয়নি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্টেজ পারফরম্যান্স এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
ওমরাহ যাত্রা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, “আপনারা সবাই জানেন, আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি এবং রোজা রাখি। অনেক দিন ধরেই মনেপ্রাণে ইচ্ছে ছিল ওমরাহ পালন করার। অবশেষে সেই সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ্ আমার ইবাদত কবুল করেন।”
তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ১০ দিনের এই সফরে জায়েদ খান পবিত্র মক্কা ও মদিনায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন। ওমরাহ শেষে তিনি পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন এবং সেখানকার নির্ধারিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
দেশ থেকে দূরে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজনে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন এই ঢালিউড তারকা। স্টেজ শো, মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ইভেন্টে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক–নির্ভর বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’তে তার উপস্থাপনা করা একটি অনুষ্ঠান সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
জায়েদ খান জানান, “দেশের বাইরে থেকেও আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও বিনোদন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। আমেরিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটি খুবই শক্তিশালী, এবং এখানে তারকারা উপস্থিত হলে সবাই আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।”
জায়েদ খানের ওমরাহ যাত্রার খবরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভকামনা জানিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে এসে এই যাত্রা তার জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।
Leave a comment