চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কালির বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) গভীর রাতে চরপোয়া সড়কের পাশে অবস্থিত দোকানগুলোর একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুহূর্তেই তা আশপাশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত দাউদাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনে বেশ কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত উপস্থিতি বড় ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে সহায়তা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল পাটওয়ারী, সজীবসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত ১২টার কিছু পরে হঠাৎ বাজারের একটি দোকানে আগুন দেখা যায়। বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে যায় এবং চোখের পলকেই ৬টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরেকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতা বাড়তে থাকায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা একযোগে আশপাশের দোকানগুলো ভেঙে ফেলেন, যাতে আগুন আরও দূরে না ছড়ায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ফয়েজ আহাম্মদ জানান, আগুনে তার চারটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তার চাচাতো ও জেঠাতো ভাইয়ের আরও তিনটি দোকান পুড়েছে।
তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকানগুলোর পুরো মালামালই শেষ হয়ে গেছে। পুনরায় শুরু করতে এখন বড় কষ্ট হবে।”
আরেক ব্যবসায়ী ফকরুল ইসলাম জানান, তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছিলেন। রবিবার তার দুটি এনজিও কিস্তির টাকা দেওয়ার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সেই টাকাও আগুনে পুড়ে গেছে।
দৌড়ে এসে দেখি কিছুই আর অবশিষ্ট নেই তিনি বলেন,“রাত সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেলাম দোকানে আগুন।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পরপরই তারা সেখানে পৌঁছে যান। প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, “আগুনের কারণ এবং মোট ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তদন্তের পর জানা যাবে। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই আগুন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি।”
Leave a comment