কুমিল্লা নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভোরের দিকে সমন্বিত অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মোট ৪৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে টানা অভিযান চালানো হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় মিছিল বা গণজমায়েতের প্রস্তুতির তথ্য পাওয়ার পরই প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।
পুলিশ জানায়, ভোর ৬টার দিকে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় একদল নেতাকর্মী গোপনে মিছিল বের করার পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। তবে দ্রুত অভিযানে টমছম ব্রিজ, ঝাউতলা ও বাদুরতলা এলাকা থেকে মোট ২৯ জনকে আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে মিছিলের ব্যানার, লাঠিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মহিনুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধসংগঠনের সদস্যরা ভোরে মিছিল বের করার চেষ্টা করছিল—এমন তথ্য পাওয়ার পরই পুলিশ সক্রিয় হয়। তিনি বলেন,“আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে ।
শুধু নগরী নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও একই সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী জানান, সদর দক্ষিণ, দাউদকান্দি, মুরাদনগর, ভাঙ্গুরা, দেবীদ্বার ও চান্দিনা থেকে একজন করে এবং নাঙ্গলকোট থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আরও সাতজনকে আটক করে।
তিনি বলেন, “সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা জুড়ে নজরদারি ও অভিযান বাড়ানো হয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় পুলিশ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ৪৪ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, এসব অভিযানের লক্ষ্য হলো সহিংসতা, নাশকতা বা জনভীতি সৃষ্টির মতো যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করা।
Leave a comment