মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে পুরোনো বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান,“রাতে তুহিন বাসা থেকে হাঁটতে বের হয়েছিল। মুন্সীকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে লিটন বেপারির নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ সদস্যরা পেছন থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে তুহিন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।”
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত তুহিনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার বলেন,“তুহিনকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার পিঠ ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।”
চিকিৎসকের প্রাথমিক ধারণা, নিকটবর্তী স্থান থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল, যা গুরুতর রক্তক্ষরণের কারণ হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন,“ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘটিত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছি এবং জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
দক্ষিণ বেহেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কয়েক মাস আগেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন,“এই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। মাঝে-মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা হলেও তারা আবার সংঘাতে জড়ায়। আজকের ঘটনা তারই পরিণতি।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।
Leave a comment