মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে হামাস বলেছে, এই হামলা দখলদার ইসরায়েলি সরকারের “ভণ্ডামি ও প্রতারণার নগ্ন প্রকাশ”।
রোববার (৫ অক্টোবর) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, এক বিবৃতিতে হামাস ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘রক্তাক্ত উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাস্তবে ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) গাজার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে হামাস দাবি করেছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে— তারা যেন ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আইনি ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে এবং গাজায় চলমান ‘গণহত্যা ও অবরোধ’ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করে। সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনচেতা জনগণের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ায় এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের একটি প্রাথমিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “এই প্রস্তাব হামাসের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হামাসের সম্মতি মিললেই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা ‘পরবর্তী ধাপের সেনা প্রত্যাহারের ভিত্তি তৈরি করবে’ এবং চলমান তিন বছরের এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর পথ খুলে দেবে।
Leave a comment