রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন—
• বিজয়-২৪ হলে ৩ জন
• মন্নুজান হলে ১ জন
• রোকেয়া হলে ৬ জন
• তাপসী রাবেয়া হলে ৩ জন
• বেগম খালেদা জিয়া হলে ১০ জন
• রহমতুন্নেসা হলে ৯ জন
• জুলাই-৩৬ হলে ৭ জন
এছাড়া রোকেয়া, জুলাই-৩৬ ও রহমতুন্নেসা হলে নির্বাহী সদস্য পদে একটি করে মোট তিনটি পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। ফলে এসব পদ শূন্য থাকবে।
ফাঁকা পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. সেতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “যেসব পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি, সেগুলো শূন্য থাকবেই। এগুলো পূরণের অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদ কার্যক্রম চলবে।”
ভোটার সংখ্যা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
রাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৮ জন প্রার্থী এবং সিনেটে রয়েছেন ৫৮ জন প্রার্থী।
• ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন প্রার্থী
• জিএস পদে ১৪ জন
• এজিএস পদে ১৬ জন
এছাড়া হল সংসদে মোট ৬০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট
রাকসু নির্বাচন দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ৩৯ জনের বিষয়টি প্রত্যাশিত হলেও শূন্য পদ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন, ছাত্ররাজনীতির প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ায় কিছু পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি; আবার অনেকে এটিকে নির্দিষ্ট হল বা গ্রুপভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের ফলাফল বলছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চার বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তবে তিনটি পদ শূন্য থাকা এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনী প্রতিযোগিতার গতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ভোটগ্রহণে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের বাকি পদগুলোতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
Leave a comment