এশিয়ার অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমেছে, কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের মতো অর্থনীতিতে দাম বেড়েছে মাত্র ১–২ শতাংশের মধ্যে, আবার কিছু ক্ষেত্রে মূল্যহ্রাসও দেখা গেছে। এদিকে বাংলাদেশে গত আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এখনও উচ্চ মানে গণ্য হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়ার নিম্নমূল্যের মূল কারণ চীনের অতিরিক্ত উৎপাদন, খাদ্য ও জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের চাহিদা দুর্বলতা। চীনের রপ্তানি মূল্যের কমে যাওয়া ও সস্তা পণ্যের বাজার দখল এ প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করেছে। তবে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি সরবরাহ–সংক্রান্ত কারণে; বাজারে যথাযথ পণ্যের অভাব এবং উৎপাদন খাতে সমস্যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
বিশ্বের অন্যান্য এশিয়ান অর্থনীতিতে দাম কমলেও বাংলাদেশের ক্রেতারা এখনও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে চাপের মধ্যে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের অর্থনীতিতে সরবরাহ–চ্যালেঞ্জ এবং নিম্ন প্রবৃদ্ধি একসাথে থাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
Leave a comment