নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর ধনু নদীতে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজের প্রায় দেড় দিন পর আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে খালিয়াজুরীর পাঁচহাট গ্রামের নদীর তীরে মরদেহ দুটি ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নোফায়েল মিয়ার সাত বছরের মেয়ে উষামনির মরদেহ উদ্ধার করেন। একই দিন সকালে স্বপন মিয়ার সাত বছর বয়সী কন্যা লায়লা এবং বর রানা মিয়ার বোন শিরিন (১৮) এর মরদেহ পাওয়া যায়। সবশেষ উদ্ধারসহ এখন পর্যন্ত মোট তিনজনের মরদেহ মিলেছে। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খালিয়াজুরীর পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদীতে একটি ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খালিয়াজুরীর আন্ধাইর গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে রানা মিয়ার বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্পিডবোট ভাড়া করা হয়েছিল। তবে বরযাত্রীরা ওঠার আগেই বাড়ির ১৫ জন আত্মীয়-স্বজন স্পিডবোটে ঘুরতে বের হন।
কিছুক্ষণ পরই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এতে থাকা ১২ জনের মধ্যে ৮ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও চারজন নারী ও শিশু পানিতে তলিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে নিখোঁজ আরেকজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a comment