মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক সংগঠক ও “টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ”র প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার দিবাগত রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মতের ভিন্নতা থাকলেও রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে কাউকে হত্যা করা গণতান্ত্রিক সমাজে কল্পনাতীত। নিহতের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানান এবং শান্তি কামনা করেন। চার্লি কার্ক তরুণ বয়সেই মার্কিন ডানপন্থি রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মঙ্গলবার রাতে ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টও গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তবে তারেক রহমানের এই শোক প্রকাশকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তার অবস্থানকে স্বাগত জানালেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন প্রো–ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিন বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত ব্যক্তিকে নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ কতটা যুক্তিযুক্ত। কেউ লিখেছেন, “সব হত্যাই নিন্দনীয়, কিন্তু ফিলিস্তিনি গণহত্যাকে সমর্থনকারী এক নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা মেনে নেওয়া যায় না।” অপরদিকে কেউ কেউ মনে করেন, মানবিকতার জায়গা থেকে রাজনৈতিক ভিন্নমত নির্বিশেষে সহিংসতা নিন্দনীয় এবং তারেক রহমান সেই অবস্থানই তুলে ধরেছেন। ফেসবুক জুড়ে এ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে, যেখানে কেউ নৈতিক অবস্থানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন।
Leave a comment