বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও দর্শকদের হৃদয়ের নায়ক আব্দুর রাজ্জাক। সবার কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘নায়করাজ’ নামে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ছিল ঢালিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম এই শিল্পীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটিতে ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনের তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্টে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।
অভিনেতা ওমর সানি একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে লিখেছেন— “শ্রদ্ধা আঙ্কেল। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।”
অভিনেতা রওনক হাসান তাঁর পোস্টে লেখেন— “নায়করাজ রাজ্জাক! প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা।”
ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান দীর্ঘ আবেগঘন একটি লেখা প্রকাশ করে বলেন, “আপনাকে গভীরভাবে অনুভব করি প্রতি পদে পদে। শুধুই একজন অভিনেতা নন, আপনি সুন্দর স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি। আপনার অভিনয়, হাসি চিরকাল বেঁচে থাকবে আমাদের স্মৃতিতে, ভালোবাসায়। আপনার প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা, চিরশান্তিতে থাকুন।”
জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ পোস্টে রাজ্জাককে স্মরণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতির আবেগ ভাগ করে নেন। তিনি লেখেন,
“আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস। সেদিনের মতো যদি সম্রাট ফোন ধরে বলত, ‘দিদি, ভুল শুনেছেন আব্বাকে এসে দেখে যান! আব্বা ভালো আছে।’ কিন্তু সত্যিটা ছিল অন্যরকম। সম্রাট বলেছিল, ‘দিদি, আর পারলাম না আব্বাকে ধরে রাখতে।’ তখন থেকে জীবনটা শূন্য মনে হয়।”
চয়নিকা আরও যোগ করেন, “নায়করাজকে দেখে বড় হয়েছি। ক্লাস ফাইভ থেকে তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। তিনি ছাড়া এই মিডিয়া শূন্য। আপনি আমাদের বটবৃক্ষ। আপনার তুলনা আপনি নিজেই। ধ্রুবতারা নামের একটি টেলিফিল্মে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আজও তাঁকে ভীষণভাবে মিস করি।”
শুধু সিনিয়র তারকারাই নন, ছোট পর্দার শিল্পীরাও নায়করাজকে স্মরণ করেছেন। অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার লিখেছেন, “আম্মু ও নায়ক রাজ রাজ্জাক আংকেল, আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুন, আমিন।”
তিনি আরও যোগ করেন— “#বাংলাদেশসিনেমারলিজেন্ড।”
রাজ্জাকের অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা কয়েকশো। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি ছিলেন ঢাকাই সিনেমার প্রধান নায়ক, যিনি দর্শকদের মনে গড়ে তুলেছিলেন অদ্বিতীয় জনপ্রিয়তা। শুধু অভিনয় নয়, তিনি প্রযোজনা ও পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর আট বছর পরও তাঁর স্মৃতি ভক্তদের হৃদয়ে অটুট।
Leave a comment